রাজ-পরীর ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। সদস্য বেড়েছে মায়া ও চিত্রা হরিণের পরিবারেও। প্রজননের অপেক্ষায় জেব্রা। কোলহলমুক্ত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় এখন বেকলই নতুনের কেতন। কর্তপক্ষ বলছে, চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকলেও পশু-পাখির যন্ত্রের কমতি নেই। তবে, আয়রোজগার না থাকায় সামনের দিনে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভিন্ন পরিবেশে রাজ-পরী বাঘ দম্পতির সুখের সংসার। কোলাহলমুক্ত পরিবেশে নিবিড় পরিচর্যা বেড়ে উঠছে তাদের সদ্যজাত সাবকটি। জনশুণ্য চিড়িয়াখানার অনেক খাঁচাই এখন এমন নতুন অতিথিতে পরিপূর্ণ।
করোনার প্রভাবে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস ধরে শুন্যতার প্রহর গুনছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। নেই দর্শনার্থীদের কোলাহল। তাই, অনেকটা স্বস্তিতে আছে খাচাঁয় বন্দি এখানকার পশু পাখিগুলো।
চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকলেও এসব পশুপাখিদের যন্তের কমতি নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত ২২ জন কর্মচারী এদের দেখভাল করেন।
দীর্ঘ লকডাউন পরিস্থিতিতে নিজেদের পুরোপুরি সঞ্জিবিত করে আপন রূপে ফিরেছে এখানকার প্রকৃতি। ফিরে এসেছে পশু পাখিদের প্রজনন পরিবেশও। তবে, দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরো দীর্ঘায়িত হলে আয় সংকটের পাশাপাশি পশু-পাখির খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তা।
তবে, সবদিকে বিবেচনায় নিয়ে সীমিত পরিসরে হলেও বন্দর নগরীর সবচেয়ে বড় এই বিনোদন কেন্দ্রটি খুলে দেয়ার দাবি সংশ্লিষ্টদের।